প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃ
যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশী উন্নত। শিক্ষিত জাতি একটি দেশের বড় সম্পদ।
কিন্তু দীর্ঘদিন এদেশের জনসংখ্যার একটি বৃহত্তম তার সুপ্ত ক্ষমতার পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার এবং জাতীয় উন্নয়নে অধিক কার্যকর অবদান রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তবে সময়ের বিবর্তনে সমাজ জীবনে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। বর্তমান সমাজ ধর্মীয় গোঁড়ামীর শৃংখল ভেঙ্গে সমাজকে এগিয়ে নিতে এবং উচ্চ শিক্ষার পথকে সুগম করার জন্য কিছু সংখ্যক শিক্ষা সচেতন ব্যক্তির উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর আশা আকাংখার প্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে পুরানা পল্টন কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২ কক্ষ বিশিষ্ট ২ টি দ্বিতল ভবন নির্মান ও ১ টি তিনতলা নতুন ভবন এবং ০.৪৬ একরের অধিক ভূমি, স্থায়ী ও চলতি তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ, বই, চেয়ার, ব্যাঞ্চ, টেবিল, ফ্যান ও কম্পিউটার প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিকে তরান্বিত করা হয়।
বর্তমানে কলেজটিতে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। অর্থাৎ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ কলেজটি গার্লস কলেজ নামে পরিচিত হলেও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সহশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মো. ইসমাইল হোসেন এ কলেজে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন।
কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে একটি সুন্দর শহিদ মিনার।
শহিদ মিনার সকল আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণার মূল উৎস। এ শহিদ মিনারটি স্ব-অর্থায়নে নির্মাণ করেন অত্র কলেজ গভর্নিং বডির তৎকালীন দাতা সদস্য ও বর্তমান গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি জনাব মনির আহমেদ মনা। তিনি এ কলেজটিকে সফলতার এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিগত বছরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক এবং সুদক্ষ গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বহুবার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করেছে। আশা করা যাচ্ছে সকলের সহযোগিতায় কলেজটি অত্র এলাকার উচ্চ শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত হবে।